বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দীলিপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন- শাহরিয়ার সরকার হৃদয়, রকিবুল হাসান সজিব ও মাহমুদুল হাসান জাকির।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-মাসুদ প্রধান সুজন, আল আমিন ইসলাম (১), রাবেয়া বেগম, আল আমিন (২), শিমুল মিয়া, রুনা বেগম, জাহাঙ্গীর আলম, ও জয়নাল আবেদীন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মেয়র আতাউর রহমানের একমাত্র পুত্র আশিকুর রহমান সাম্যকে তার বন্ধু হৃদয়সহ কয়েকজন ডেকে নিয়ে যায়।
মামলার বাদী নিহতের পিতা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ওই রাতেই তাকে হত্যা করে বটতলা এলাকায় একটি পরিত্যাক্ত সেফটি ট্যাংকে লাশ লুকিয়ে রাখে। পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর সাম্যর লাশ পাওয়া যায়।
পরে গোবিন্দগঞ্জ পৌর মেয়র আতাউর রহমান ও সাম্যর পিতা বাদী হয়ে পৌর কমিশনার জয়নাল আবেদীনসহ ১১জনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন তদন্তের পর এ মামলার ১১জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ এ রায় দেয়।
মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি সফিকুল ইসলাম এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।