গাজীপুরে চাকরির সন্ধানে বের হয়েছে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর এ ঘটনায় দুই যুবককে আটক করে পুলিশের দেয়া হয়েছে। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে একটি চাপাতি ও একটি হাতুড়ি উদ্ধার এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
আটকরা হচ্ছে- নগরীর বারিয়ালী এলাকার যুবক হৃদয় ও মনির।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনা এলাকার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তানভীর আহম্মেদ জানান, জুমার নামাজের পরপরই এক কিশোরীর চিৎকার শুনতে পান। ঘর থেকে বের হয়ে জানতে পারেন তাদের বাড়ির কাছেই নির্জন স্থানের একটি পরিত্যক্ত ঘরে ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ডেমরায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ!
দ্রুত কাউন্সিলর ও তার ভাই লোকজনকে নিয়ে গিয়ে দুইজনকে আটক করে এবং আরও দুইজন পালিয়ে যায়। পরে ওই দুইজনকে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা জানায়, ওই ভুক্তভোগী আগে সালনা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো। নতুন চাকরির সন্ধানে দুপুরে তার বাসার কাছেই বান্ধবীর বাসায় যায়।
সেখান থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে রাস্তা থেকে দুই যুবকক টেনে- হেঁচড়ে তাকে ওই পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এক পর্যায় কোনমতে দৌঁড়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। আর আটক করা যুবকদেরও থানায় নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হলে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে হোটেলে দুই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার