২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রাক্কলিত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি সম্পর্কিত ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন তিনি।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান এবং ডায়লগটির সঞ্চালনা করেন নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিদায়ী অর্থবছরের জিডিপির সাময়িক হিসাব নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ৫.২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি কথা বলেছে। যা দেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিফলন করেনি।
তিনি বলেন, ‘বিবিএসের তথ্যে বাস্তবতার প্রতিফলন নেই। আমরা আশা করি তাদের দেয়া চুড়ান্ত প্রতিবেদনে প্রকৃত ডেটা-উপাত্ত দেখতে পাবো। বিবিএসের সঠিক তথ্য সরবরাহ করার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা আছে। তবে তারা বিভিন্ন কারণে সঠিক তথ্য দিতে পারছে না। তাই, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে সঠিক তথ্য ও মতামত দেয়ার জন্য একটি স্বাধীন কমিশন দরকার।’
সিপিডি বিশেষ এ ফেলো বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সঠিক তথ্য দরকার। সামগ্রিক অর্থনৈতিক সূচকে আমরা কর্মসংস্থান, মূল্যস্ফীতি, আয়ের বৈষম্য এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে ভুল তথ্য পাচ্ছি। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রভাবিত হয়ে ভুল তথ্য সরবরাহ করার ফলে নীতি নির্ধারকদের সঠিক নীতিমালা তৈরি করতে সমস্যায় পড়বেন।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশে দারিদ্র্যের হার ৩৫ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
সরকার অর্থনৈতিক খাতের সমস্যা সমাধানে বড় ধরনের উদ্দীপনা প্যাকেজ সরবরাহের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের বেসরকারি বিনিয়োগ এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি যদি ভাল হয় তবে প্যাকেজ ঘোষণার কী দরকার? প্রশ্ন করেন তিনি।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় স্বাধীন কমিশন রয়েছে। যারা স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং সঠিক তথ্য সরবরাহ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিবিএসের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা আছে। তারা ঠিকভাবে কাজ করলে আমরা দেশের অর্থনীতি নিয়ে সঠিক তথ্য পেতে পারি। এজন্য এখন একটি স্বাধীন কমিশন করা দরকার।’