ঘন কুয়াশার কারণে রবিবার রাত ১১টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাঝ নদীতে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আটকে আছে তিনটি ফেরি।
এছাড়া উভয় পাড়ে আরও ১১টি ফেরিকে নোঙর করে রাখা হয়েছে। ফেরি বন্ধ থাকায় পদ্মার উভয়পাড়ে আটকে পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাকসহ যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটাকর, মাইক্রোবাস মিলে তিন শতাধিক যানবাহন। পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেজ নেওয়াজ জানান, রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে রাত ১১টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এসময় মাঝ পদ্মায় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছে ফেরি বনলতা, হাসনা হেনা ও রজনীগন্ধা নামের তিনটি ফেরি ও লঞ্চ।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৫ ঘন্টা বন্ধের পর ফেরি চলাচল শুরু
এ ছাড়া পাটুরিয়া প্রান্তে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, ভাষা শহীদ বরকত ও মাধবী লতা নামের তিনটি ফেরি যানবাহন বোঝাই করে ঘাটে নোঙর করে আছে। এছাড়াও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, কেরামত আলী, শাহ পরান ও চন্দ্র মল্লিকা নামের চারটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়েছে।
দীর্ঘ সময় থেকে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে পড়েছে তিন শতাধিক যানবাহন। এদের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, ছোটগাড়ি প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মিলে শতাধিক যানবাহন ও আরও শতাধিক পন্যবাহী ট্রাক রয়েছে বলে তিনি জানান। ঘন কুয়াশার তীব্রতা না কাটা পর্যন্ত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে না বলেও তিনি জানান।
একই কারণে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটেও রাত ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। উভয়ঘাটে আটকে রাখা হয়েছে ৫টি ফেরিকে।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১১ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক