কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় ঘরের মধ্যে চার শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
একই সঙ্গে এ ঘটনার কারণ উদঘাটনে তিন সদস্যের একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার বাদী হয়ে এই রিট দায়ের করেন।
রিটে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারের জন্য এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। রিটে যে চার শিশুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলো- নারায়ণগঞ্জের রিয়া গোপ, রায়েরবাগের আবুল আহাদ, মিরপুরের সাফফাত ও উত্তরার নাঈমা সুলতানা।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে আসা মৃত শিশুদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান রিটের পক্ষের আইনজীবী।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ দুটি জাতীয় দৈনিককেও বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী তৈয়মুর আলম খন্দকার বলেন, কোটা আন্দোলনে অংশ না নিয়ে ঘরে থেকে কেন শিশুরা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেল? তাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই কেন। এসব ঘটনার জন্য কারা দায়ী এবং তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূণর দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। দুটি জাতীয় পত্রিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে এই রিট আবেদনটি করা হয়েছে। এজন্য পত্রিকা দুটিকেও রিটে বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি মোস্তাফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই রিটের শুনানি করা হবে।