চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বন্ড সুবিধায় (অন-চেসিস) আনা ১০৭ মেট্রিক টন কাপড় (পলিস্টার ওভেন ফ্যাবিক্স) জব্দ করেছে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
নগরীর হালিশহরের একটি অননুমোদিত গুদামে খালাসের সময় মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে এ চালান আটক করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. বশীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তর হালিশহর এলাকা থেকে এসব কাপড় জব্দ করা হয়। ঢাকা ইপিজেডের গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড এসব কাপড় আমদানি করে বলে জানা গেছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেডের নামে পলিস্টার ওভেন ফ্যাবিক্স আমদানি করে সাভার ঢাকা ইপিজেডের কারখানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গত ১১ অক্টোবর তিনটি ৪০ ফুট কন্টেইনার ও ১২ অক্টোবর ২টি ৪০ ফুট কন্টেইনার অনচেচিজ ডেলিভারি নেয় আমদানিকারকের নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান স্পিডওয়ে লজিস্টিকস। কিন্তু এসব কাপড় ঢাকায় না নিয়ে কন্টেইনারগুলো নগরীর উত্তর হালিশহর বারওয়ানিঘাটা এএফটি লজিস্টিকস লিমিটেডের গুদামে খালাস করা হচ্ছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৩ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে তিন কন্টেইনার থেকে ৬৩ দশমিক ৯৩ মেট্রিক টন এবং ওই গুদাম থেকে ৪৩.৩১ মেট্রিক টন কাপড় জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দারা।
আটক কাপড়ের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ছিল তিন কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ৮৮৯ টাকা। এতে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৯০ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা চলে। পুরো পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. বশীর আহমেদ বলেন, আমদানি করা পণ্য অনচেচিজ ডেলিভারি নেয়া হয় সরাসরি কারখানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু বেআইনিভাবে অননুমোদিত গুদামে খালাস করা হচ্ছিল। এটা বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধার অপব্যবহার। তাছাড়া বিনাশুল্কে বন্ড সুবিধায় আমদানি করে এসব পণ্য খোলা বাজারে বিক্রির পায়তারা করছিল তারা।
আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকি, মানি লন্ডারিং আইনে ফৌজদারি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
পড়ুন: মালয়েশিয়ায় পাঠানো কনটেইনার থেকে লাশ উদ্ধার: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ