মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর এয়ারপোর্ট রোডের কাওলা থেকে তেজগাঁও নাবিস্কো পর্যন্ত ইউটার্নগুলোর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে এ ঘোষণা দেন তিনি।
পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, ‘আমরা দেখেছি উত্তরায় রাজলক্ষ্মীর সামনে এবং জসীমউদ্দীন মোড়ে কী রকম জ্যাম হত। এই কাজটির পরিকল্পনা ২০১৬ সালে নেয়া হয়েছিল। মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে কাজটি থমকে গিয়েছিল। আমি ৯ মাসের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পরে আমার একটা কমিটমেন্ট ছিল যে, আনিসুল হকের এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে। তার স্বপ্নগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ছিল।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে দেখা গেল এখানে সড়ক ও জনপদের জমি আছে। এছাড়া আরও অনেকগুলো বাধা ছিল। আমরা মিটিং করে সবগুলো বাধা নিষ্পন্ন করি। রোডস অ্যান্ড হাইওয়েজের জায়গা আমাদেরকে কিনে নিতে হয়েছে, ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে। পুরও প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সময় অতিবাহিত হয়েছে।’
মেয়র আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরা থেকে তেজগাঁও নাবিস্কো পর্যন্ত যেতে এখন যে সময় ব্যয় হয় তার শতকরা ৭০ ভাগ সময় কমে যাবে। এই কাজটি শেষ করতে পারলে জনগণ অনেক উপকৃত হবে।’
ডিএনসিসি মেয়র জানান, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ঢাকা উত্তরে যত ঝুলন্ত তার আছে সেগুলো কেটে ফেলা হবে। ঝুলন্ত তার সরানোর জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হলো।’
এছাড়া রাস্তায় বা ল্যাম্পপোস্টে অবৈধ ঝুলন্ত পোস্টার বা বিজ্ঞাপন বোর্ড থাকতে পারবেনা এবং শহরের দেয়ালে যারা লিখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।