সিলেট নগরের উপশহরের বাসিন্দা ছাত্রদল নেতা এনামুল হকের স্ত্রী শ্যামা হক বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
শ্যামা হক দাবি করেন, ‘রবিবার রাত ৮টায় আমার স্বামী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে সিলেট ল’ কলেজের সামনে নেওয়াজ নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী তাকে ডাক দিয়ে রিকশা থামান। রিকশা থেকে নামার পর পরই আর্মড পুলিশের কয়েকজন সদস্য এনামুলকে আটক করে। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা ওয়ারেন্ট ছিল না। তারা তাকে মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ও তার পকেটে ইয়াবা রেখে দেয়। পরে পুলিশ অ্যাসল্ট ও ইয়াবা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চালান দেয়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘যুবলীগের এক প্রভাবশালী নেতা টাকার বিনিময়ে প্রশাসনকে দিয়ে এমন নিন্দনীয় কাজ করিয়েছে। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা ও প্রতিবাদী ব্যক্তি হওয়ায় তার ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তার নামে এর আগে কোনো মামলা ছিল না। অথচ ছাত্রদল নেতা রাজু হত্যা মামলায় আমার স্বামী ও দেবরকে জড়ানো হয়েছে। দেবর একরামুল হকও জেলে। কিছুদিন আগে হার্ট অ্যাটাক করেন শ্বশুর, এখন তিনি অসুস্থ। এ অবস্থায় আমরা জিম্মি হয়ে আছি। ভয়ে বাচ্চাদের স্কুলে দিতে পারছি না। একের পর এক মিথ্যা মামলায় স্বামী ও দেবরকে ফাঁসানো হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন শ্যামা হক।