পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাস্তুহারা এই বিশাল জনগোষ্ঠীর চাপ বাংলাদেশ একা সামলাতে পারবে না। এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে কার্যকর এবং সক্রিয় সমর্থন প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: বিশ্বকে বাঁচাতে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান শেখ হাসিনার
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এবার গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি) থেকে আরও স্পষ্ট ফলাফল দেখতে চায়, যাতে মানুষ জিএফএমডি থাকার তাৎপর্য এবং উপকারিতা বুঝতে পারে।
মঙ্গলবার অভিবাসন ও উন্নয়ন সম্পর্কিত সংসদীয় ককাস আয়োজিত ভার্চুয়াল প্রি-জিএফএমডি ২০২০ জাতীয় সভায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানালেন সায়মা ওয়াজেদ
এতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. শহিদুল হক ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) প্রেসিডেন্ট বেনজির আহমেদ।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। যারা তাদের পৈতৃক বাড়িঘর থকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রশংসিত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।‘প্রতিবছর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের জনসংখ্যার বিরাট একটি অংশ বাস্তুচ্যুত হচ্ছ, যাদেরকে আমরা জলবায়ু অভিবাসী বলছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সম্ভাব্য অভিবাসী কর্মীদের দক্ষতা, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সফল অভিবাসন যাত্রার জন্য বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ অগ্রাধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: পৃথিবী রক্ষায় জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর ৫ প্রস্তাব
‘একই সাথে, আমরা অভিবাসনের সমস্ত পর্যায়ে অভিবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে প্রযুক্তির সুবিধা নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করেছি, বিশেষত বিদেশে থাকার সময়,’ বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অভিবাসীদের সহায়তার জন্য এবং আরও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার আরও বিস্তৃত ডাটাবেস তৈরি করছে এবং আইসিটি-ভিত্তিক তথ্য পরিষেবা সংযোগের মাধ্যমে ডেটা ম্যানেজমেন্টের উন্নয়নে কাজ করছে।