কুমিল্লার বুড়িচংয়ের কাপ্তান বাজার এলাকায় রেস্টুরেন্ট কর্মচারী জহির মিয়া হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিকের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি করে রবিবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন-জহির মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার ও তার প্রেমিক দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য্য।
আাদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. জাহেদুল আলম।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান জানান, আসামিদের কারাভোগ ও বয়স বিবেচনায় তাদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাইকে খুনের দায়ে ভাইয়ের যাবজ্জীবন
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকায় রেস্টুরেন্ট কর্মচারী জহির মিয়া হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রীসহ কথিত প্রেমিকের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় জহির মিয়াকে হত্যা করা হয়। এরপর জহির মিয়ার বড় ভাই বাদী হয়ে শিরিন আক্তারসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে কুমিল্লা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে জহিরের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে জহির মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার এবং তার কথিত প্রেমিক দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২১ মার্চ কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক এম আলী আহমেদ ওই দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।