নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ইভিএম কেনার বাজেট কাটছাঁট করা হলে বা কেনার প্রস্তাব ১৫ জানুয়ারির মধ্যে পাস না হলে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ১৫০টি নির্বাচনী এলাকায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা শুধুমাত্র বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) থেকে ইভিএম কিনতে পারি, তাই আমরা তাদের বাজার মূল্য মূল্যায়ন করতে পারছি না।’
বুধবার রাজধানীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে গণমাধ্যমকে কমিশনার আলমগীর এ কথা বলেন।
সম্ভাব্যতা যাচাই না করেই ইসি দুই লাখ ইভিএম ক্রয় ও তাদের ব্যবস্থাপনার জন্য আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠায়। ইসি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে।
উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন সংক্রান্ত পরিকল্পনা কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি ব্যয়ের যে কোনো প্রকল্পের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই আবশ্যক।
আলমগীর বলেন, ‘ইভিএম কেনার বরাত চাইতে না পারায় সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সুযোগ নেই। বিএমটিএফ আমাদের যে দাম দিয়েছে, সেই দামেই ইভিএম কিনতে হবে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কোনো সুযোগ নেই'।
প্রস্তাব অনুযায়ী, তাদের সমস্ত আনুষাঙ্গিকসহ ইভিএমগুলির জন্য ৩ দশমিক ৩৩ লাখ টাকা খরচ হবে এবং দুই লাখ মেশিন কিনতে প্রায় ৬ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।
তাদের সংরক্ষণের জন্য একটি গুদাম, একটি কাস্টমাইজেশন সেন্টার এবং ৫৩৪টি পিকআপ ভ্যান এবং চারটি এসইউভি কেনার জন্য আরও এক হাজার ১৫৫ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। আর ইভিএম নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে, ভোটার ও প্রশিক্ষণ কর্মকর্তাদের অবহিত করতে হলে আরও ২০৬ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। বাকিটা প্রশাসনিক খরচের দিকে যাবে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় সর্বোচ্চ ১৫০টি সংসদীয় আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইসির কাছে বর্তমানে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে যা ৭০ থেকে ৮০টি আসনে একযোগে ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: ইসি নিজেই স্বীকার করেছেন ইভিএম দিয়ে সঠিকভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না: জিএম কাদের