কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় জাপানের কাছ থেকে বাংলাদেশ শনিবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দ্বিতীয় চালান পেতে যাচ্ছে।
জাপানের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের (এএনএ) একটি কার্গো বিমান অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭ লাখ ৮১হাজার ৩২০ ডোজ টিকা নিয়ে নরিতা বিমানবন্দরের ১ নং টার্মিনাল ছেড়েছে। এই নিয়ে জাপানের কাছ থেকে বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি ডোজ টিকা পেতে যাচ্ছে। কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন গত ২৪ জুলাই জাপানের কাছ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ টিকার প্রথম চালান গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আড়াই লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
রাতে নারিতা বিমানবন্দরে জাপানে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নিয়ে যখন কার্গো বিমান ঢাকার উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে তখন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেন, এটি বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের বহিঃপ্রকাশ।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোতেগি তোশিমিতসুর সঙ্গে সাম্প্রতিক টেলিফোন আলাপের সময় ডা. মোমেন টিকার বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা সরবরাহ করে বাংলাদেশকে সাহায্য করার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় প্রতিদিন ২শ’র ওপর মৃত্যু, একদিনে শনাক্ত ১৩, ৮৬২
ওই সময় তিনি স্পষ্টভাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার জরুরী প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছিলেন। কারণ বাংলাদেশের অনেক সংখ্যক মানুষ সরবরাহ দেরিতে হওয়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে পাচ্ছেন না।
জাপান সব সময় বলে আসছে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, এই অঞ্চলের ১৫ টি দেশকে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় মোট এক কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: সবাই টিকা পাবে: প্রধানমন্ত্রী