এসএসসিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ এর দিক থেকে এ বছর সেরা দশের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল।
১ হাজার ১০৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করল। তবে প্রতিষ্ঠানটির এবারও জায়গা হয়নি শতভাগ পাসের তালিকায়।
কলেজিয়েট স্কুল থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৪৭২ জন। যাদের মধ্যে একজন অকৃতকার্য হওয়ায় শতভাগ পাসের তালিকা থেকে সরে যায় প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১০ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
কলেজিয়েট স্কুলের পরেই জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৪৭৩ জন এবারের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৪৬৮ জন। ৯৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ পাসের হার নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭৪ জন।
এরপরেই ৪৬০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩৩১ জিপিএ-৫ পাওয়ায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুসলিম হাই স্কুল। তবে, এবার এই স্কুল শতভাগ পাসের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে নাসিরাবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুল থেকে ৫১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়ছে ২৬০ জন।
আরও পড়ুন:জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
নৌ-বাহিনী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪৭৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ২৫৭ জন। এই প্রতিষ্ঠান জিপি-৫ প্রাপ্তির তালিকায় রয়েছে পঞ্চম স্থানে। সেরা তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪৩ জন।
চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৩৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩২ জন জিপিএ-৫ পাওয়ায় সেরাদের তালিকায় রয়েছে সপ্তম স্থানে। বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৫ জন। সেরাদের তালিকায় তারা রয়েছে অষ্টম স্থানে।
এ ছাড়া, চট্টগ্রাম গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের ২২৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ায় সেরাদের তালিকায় তারা রয়েছে নবম স্থানে। দশম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলার বাইরের কক্সবাজার গভর্নমেন্ট হাই স্কুল। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১৮৯ জন শিক্ষার্থী।
এর আগে, শুক্রবার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার ২১৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮১৯ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। যা গতবারের চেয়ে ৪ হাজার ৭০৭ জন বেশি।
এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় পাসের হার এবং জিপিএ ৫ দুটোই কম। গত বছর পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ থাকলেও এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী।