বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর হার ইউরোপ, আমেরিকার চেয়ে কম তো বটেই, প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তানের চেয়েও কম। পরম সৃষ্টিকর্তার দয়া ও করোনাভাইরাস বাংলাদেশে আসার আগেই প্রধানমন্ত্রীর নানা দূরদর্শী পদক্ষেপই এর কারণ।’
করোনায় যাতে আর কোনো মানুষ মৃত্যুবরণ না করে, আর যাতে মানুষ আক্রান্ত না হয় সে লক্ষ্য নিয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
লকডাউন খুলে দিয়ে সরকার ভুল করেছে বলে বিএনপির যে অভিযোগ তার জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভী এবং আরও কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে মনে হয়, তাদের পরামর্শটা যদি ইউরোপ-আমেরিকা শুনত, তাহলে তারাও এ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেত। তাদের কথায় মনে হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চেয়েও বিএনপি নেতারা স্বাস্থ্য বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন। তাই এ ধরনের হাস্যকর কথা তারা বলেছেন।’
মন্ত্রী জানান, যেখানে স্পেন-ইতালিতে এখনও প্রতিদিন প্রায় ২ শ’র মতো মানুষ মৃত্যুবরণ করছে, সেখানে তারা লকডাউন শিথিল করেছে। ভারতে প্রতিদিন এক শ’র বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করছে, সেখানেও অনেক জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। এ সবই মানুষের জীবিকা রক্ষার কারণে করা হয়েছে। বাংলাদেশেও মানুষের জীবনের পাশাপাশি জীবিকা রক্ষার জন্যই নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
‘বিএনপি নেতারা শুধু সমালোচনা করছেন, কিন্তু পৃথিবীর দিকে তাকাচ্ছেন না। কারণ তাদের এ সমালোচনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করা,’ উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আজকের এ পরিস্থিতিতে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে সমস্ত দল একযোগে সরকারের সহযোগী হিসেবে এক সাথে কাজ করছে জনগণকে রক্ষা করার জন্য। এমনকি ভারতেও প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ কংগ্রেস নেতৃতাধীন জোট সরকারের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সেই কাজটি বিএনপি করেনি, করতে পারেনি। কারণ তারা সেই সংস্কৃতিটি লালন করে না বরং তারা পলিটিক্স অব ডিনায়াল আর পলিটিক্স অব কনফ্রনটেশনে বিশ্বাস করে।’
আক্ষেপ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম মানুষের এ দুর্যোগের সময় তারা তাদের চিরাচরিত না বলার রাজনীতি আর সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তারা বেরিয়ে আসতে পারেনি।’
করোনা মোকাবিলায় মানুষের জন্য সরকারের বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচির বিবরণ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। আজকে প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০ লাখ পরিবারকে এককালীন ২ হাজার ৫০০ টাকা করে সরাসরি পৌঁছে দেয়ার কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন। এগুলো যুগান্তরকারী পদক্ষেপ।’