ট্রলারডুবে বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় জলসীমায় ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। মঙ্গলবার বাগেরহাটের মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কাছে জেলেদেরকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে রাত ৯টার দিকে তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের অপারেশন বিভাগের স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট এ এস এম লুৎফর রহমান জানান, গত ১৮ ও ১৯ আগস্ট ঝড়ের কবলে পড়ে ইঞ্জিনের ত্রুটিজনিত দেখা দিলে ওই তিনটি মাছধরা ট্রলার ভাসতে ভাসতে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে। ২০ আগস্ট ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের জলসীমায় ভাসমান অবস্থায় প্রথম ১০ জন জেলেকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া জেলেদের কাছ থেকে আরো জেলে নিখোঁজের খবর জানতে পেরে ভারতীয় কোস্টগার্ডের জাহাজ এবং এয়ারক্রাফট টহল চালিয়ে ভাসমান আরও ২২ জেলেকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
তিনি জানান, ভারতীয় কোস্টগার্ড দুদেশের কোস্টগার্ডের সমজতার মাধ্যমে মঙ্গলবার সকালে ৩২ জেলেকে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ রেখায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ তাজউদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর সমুদ্রে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ অপরাজেয় বাংলায় ওই জেলেদেরকে হস্তান্তর করে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরে আনা হয়। মঙ্গলবার রাতেই ৩২ জেলেকে স্বজন এবং প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ আরেক জেলের লাশ উদ্ধার
ফিরে আসা জেলেরা জানান, এফবি আব্দুল্লাহ-১, এফবি মায়ের দোয়া এবং এফবি জান্নাতুল ফেরদৌস নামে ৩টি ট্রলার নিয়ে ১৫ আগস্ট ৩২ জেলে মাছ ধরার উদ্দেশে বঙ্গোপাসগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। সমুদ্রে পৌছে তারা মাছ ধরছিল। কিন্তু ১৮ ও ১৯ আগস্ট ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পানি প্রবেশ ট্রলারগুলো একে একে ডুবে যায়। এর পর তারা দুই দিন ধরে সাগরে ভাসতে থাকে। পরে ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে।