বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল ঘাটতির কারণে তার সাধারণ খাদ্য সহায়তা ভাউচারের মূল্য প্রতিমাসে ১২ থেকে কমিয়ে ১০ মার্কিন ডলার করার সাম্প্রতিক ঘোষণার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ভিত্তিক আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস(এআরএসপিএইচ)।
তারা বলেছে, ‘শিবিরে বসবাসকারী শরণার্থী হিসাবে, আমরা প্রথম থেকে জানি যে প্রতি মাসে ১২ মার্কিন ডলারেও বেঁচে থাকা কতটা কঠিন, এবং এই হ্রাস আমাদের সম্প্রদায়ের ওপর ইতোমধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতির বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে।
বুধবার এআরএসপিএইচ-এর ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুর রহিমের সই করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, আমরা কীভাবে প্রতি মাসে ১০ ডলারে বেঁচে থাকব তা বোঝা কঠিন, যখন প্রতি মাসে ১২ ডলার দিয়েও মানুষ চাহিদা পূরণে লড়াই করছে।
খাদ্য সহায়তা হ্রাসের ফলে চাঁদাবাজি, পতিতাবৃত্তি, মানব পাচার, মাদক পাচার এবং মৌলবাদীকরণসহ অনেকগুলো নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে ‘আমাদের জনগণের হতাশা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবে, যেখানে এই কার্যকলাপগুলো আমাদের সম্প্রদায়ের সবচেয়ে দুর্বল সদস্যদেরকে বড় ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।’
আরও পড়ুন: দূতরা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা দেখে অভিভূত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দলটি রেশনের পরিমাণ না কাটা নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘এটা অগ্রহণযোগ্য যে আমরা, উদ্বাস্তু হিসাবে, অর্থায়নের ঘাটতির বোঝা বহন করতে বাধ্য হচ্ছি যা আমাদের তৈরি নয়। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যে সহায়তা প্রয়োজন তা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে।’
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তারা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থার কাছে ঘাটতি পূরণের জন্য তহবিলের বিকল্প উৎস খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে যে ‘রোহিঙ্গা সংকটে তাদের অবদান বাড়াতে আমরা দাতা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই। আমাদের জীবন এটির ওপর নির্ভর করে এবং আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের দুর্দশা থেকে চোখ না ফেরানোর জন্য অনুরোধ করছি।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে সহায়তা করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান