ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও পৌরসভাকে দীর্ঘ পরিকল্পনা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, 'ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন মেয়রদের একটা দীর্ঘ অর্থাৎ সারা বছরের পরিকল্পনা থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আর বলেন, ‘চিকিৎসার বিষয়ে কোনো ঘাটতি নেই। আমাদের চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি; হাসপাতালগুলোতে যথেষ্ট শয্যা আছে। কেবল ঢাকায় না,জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতেও ডেঙ্গুর জন্য আলাদা শয্যা তৈরি করেছি। সব জায়গায় যাতে যথেষ্ট পরিমাণ ফ্লুইড মানে স্যালাইন থাকে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা নিজেরা স্যালাইন আমদানি করেছি, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রায় ৫০ লাখ প্যাকেট স্যালাইন তৈরি করে। স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই।’
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা আপাতত কোনো কাজে আসছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আমার অনুরোধ যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা সময়মতো পরীক্ষা করে নেবেন। তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসবেন। চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যাবেন। দেরি করে এলে আর কিছু করার থাকে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন মানিকগঞ্জে গেলাম সেখানে দেখলাম ৫০০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতলে। আগে পাঁচটা রোগী ছিল না। আশপাশের জেলা থেকে এসেছে, সেখানে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। সেখানে ড্রেনে ময়লা পড়ে আছে। এগুলো যদি পরিস্কার করা বা ওষুধ ব্যবহার করা না হয়, তাহলে তো আর ডেঙ্গু কমবে না।'
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে তা পর্যাপ্ত না। যদি পর্যাপ্তই হতো তাহলে আড়াই লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হবেন না। এখন পর্যন্ত এক হাজার ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। কাজেই এটা বড়ো সংখ্যা, আমরা খুবই দুঃখিত। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে পরামর্শ দেওয়ার কিংবা চিকিৎসা দেওয়ার, সেটা দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। তবেই ডেঙ্গু কমবে। তাছাড়া ডেঙ্গু কমবে না।'
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুরোগীর জন্য সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার টাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী