রফিকুল আমিনের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজার সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
রবিবার আদালতে রফিকুল আমীনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ রাজা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে, গত ২০ আগস্ট অর্থ পাচারের দুই মামলায় রফিকুল আমীনের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একই সাথে, এই দুই মামলা বিচারিক আদালতে ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে হাইকোর্টের জামিন খারিজ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রফিকুল আমীন। একই সঙে আপিল বিভাগের কাছে জামিন চান।
দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনি গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেসটিনি গ্রুপের নামে ২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল নামসর্বস্ব। আসামিরা প্রথমে প্রজেক্টের টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা করতেন, তারপর বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে তা স্থানান্তর করা হত। দুদক ৩৪টি ব্যাংকে এ রকম ৭২২টি হিসাবের সন্ধান পায়, যেগুলো পরে জব্দ করা হয়। আত্মসাত করা ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকার মধ্যে ৯৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয় দুই মামলায়। গত বছরের ২৪ অগাস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগ গঠনের মধ্য দিযে এ দুই মামলায় আসামিদের বিচার শুরু করেন।