যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর আসন্ন সফরে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৮ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ডোনাল্ড লু মূলত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে আসছেন।’
অন্যান্য বিষয়ও অবশ্যই আলোচনায় আসবে বলে জানান হাছান মাহমুদ।
তবে ডোনাল্ড লু কবে ঢাকায় আসছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা স্পষ্ট করেননি।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় সর্ম্পকের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসা ডোনাল্ড লু’র
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'চমৎকার' সম্পর্ক রয়েছে এবং দুই দেশ এই সম্পর্কের আরও উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব এবং সম্পর্ক আরও গভীর হবে।’
গত সপ্তাহে একটি কূটনৈতিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে, আগামী ১৪ মে দুই দিনের সফরে লু ঢাকায় আসতে পারেন। এ সফরে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগের সৃষ্টি হবে।
একেটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, এ সফরে ডোনাল্ড লু পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ‘অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিষয়ে আমাদের অভিন্ন লক্ষ্যে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজকে সমর্থন এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, ইউএসএআইডির ব্যুরো ফর এশিয়ার সহকারী কর্মকর্তা মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী আফরিন আখতার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
সে সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, 'দু পক্ষেরই সদিচ্ছা আছে। আমরা একসঙ্গে আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই।’
এইলিন লুবাখার তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যতে আমাদের একসঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মানবাধিকারে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই: মার্কিন প্রতিবেদন