আরও পড়ুন: মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে: মন্ত্রী তাজুল
তিনি বলেন, ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) তত্ত্বাবধানে ২০ বছর মেয়াদি ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণয়ন করা হচ্ছে। সম্প্রতি আমাকে এ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি পেশাজীবীদের (পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি ও প্রকৌশলী) সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। আমার কাছেও এটাই মনে হয়েছে যে ভবনের উচ্চতা বাড়িয়ে জনসংখ্যা বাড়ালে শহরকে বাসযোগ্য রাখা সম্ভব হবে না। এ জন্য বিজ্ঞান সম্মতভাবে এ শহরের আয়তন, সড়ক ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে জনঘনত্ব নির্ধারণ করতে হবে। সে লক্ষে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ড্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে। এটা বাস্তবায়নে সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: এলাকাভিত্তিক লকডাউনই সবচেয়ে উপযোগী: মন্ত্রী তাজুল
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। প্রয়োজনের তুলনায় সড়ক অবকাঠামো নেই। আর ভবনের উচ্চতা বাড়ালে সড়ক অবকাঠামো সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে না। তখন শহরের যানজট বাড়বে। সে কারণে যতটুকু উচ্চতা হলে এ শহর বাস উপযোগী থাকবে, সে পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়টি সকলকে বুঝতে হবে। কেননা সকলে মিলেই একটি শহর বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
আরও পুড়ন: সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে: মন্ত্রী তাজুল
সিটি করপোরেশনকে শহরের খালের দায়িত্ব দিয়েই নিজের বা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব শেষ করেননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা করছি। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে খাল পুনরুদ্ধার ও টেকসই দখলমুক্ত রাখতে নানা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। দুই সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ বিষয়ে শিগগিরই একটা সভা করব। সেখানে দুই সিটি করপোরেশনকে এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেয়া হবে। আর এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা অর্থায়ন করতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা নিজস্ব এবং দাতা সংস্থার অর্থায়নে খালগুলো পুনরুদ্ধারে প্রকল্প গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করব।’
আরও পড়ুন: মানুষের সচেতনতার অভাবে শতভাগ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হচ্ছে না: মন্ত্রী তাজুল
পৌরসভা কর্মীদের বেতন-ভাতা বকেয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর জানতে পারলাম অনেক পৌরসভা তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করছে না। আর্থিক সক্ষমতা নেই, এমন দাবি করেন তারা। যদিও আইন অনুযায়ী পৌরসভাগুলো নিজস্ব আয়ে চলার কথা। তখন গোড়ার গলদ বোঝার চেষ্টা করলাম। যেসব পৌরসভায় বেতন-ভাতা বকেয়া পড়ছে সেসব পৌরসভার জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ করে দেই। এমনও ঘটনা ঘটেছে যে এ ধরনের বিদেশ সফরে সচিব ও মন্ত্রীর যাওয়ার কথা থাকলেও সেসব সফর বাতিল করা হয়েছে।’ ‘আমি পৌরমেয়র বা স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের এ কথা বোঝাতে চেষ্টা করেছি যে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। তাহলে ট্যাক্স আদায় বাড়বে। জনগণ স্বেচ্ছায় ট্যাক্স দেবে। এ উদ্যোগে আমরা অনেক সফলতা পেয়েছি। অনেক পৌরসভার আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। এ নিয়ম অনুসরণ করে কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার আয় ৮০ লাখ টাকা থেকে ৪ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে সমস্যাগ্রস্ত পৌরসভাগুলোকে সহায়তা দেয়া হবে। তবে আমরা পৌরসভার সক্ষমতা বাড়াতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় সরকার জনগণের পাশে আছে: মন্ত্রী তাজুল
মন্ত্রী আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার দায়িত্ব পালনকালে করোনাভাইরাস এবং এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস মোকাবিলা করতে হয়েছে। এ সময় আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোক সঙ্গে নিয়ে মাঠে থেকেছি। সকলের প্রচেষ্টায় আমরা এ দুটি কঠিন সময় মোকাবিলা করেছি।’