বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কেউন বলেছেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া আগামী বছর একসঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে এবং বার্ষিকীকে দুই দেশের সম্পর্কের জন্য একটি মাইলফলক বছর হিসেবে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে কোইকা অ্যালামনাই নাইট-২০২২-এ বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটি ঘটানোর জন্য আমার অনেক পরিকল্পনা এবং চিন্তা রয়েছে। তবে এর জন্য সকল গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের সমর্থন ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’
যদিও দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, রাষ্ট্রদূত বলেন, এখনও বিপুল অব্যবহৃত সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক কোরিয়ার তৃতীয় এবং অষ্টম বড় বাণিজ্যিক অংশীদার ভিয়েতনাম এবং ভারতের মতো অন্যান্য আঞ্চলিক অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে কোরিয়ার সম্পর্কের স্তরকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, কোইকা বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (কেবিএএ) সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে তাদের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রধান এজেন্ট এবং সহায়ক হতে পারে এবং হওয়া উচিত।
এ বছর বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিলে (ইডিসিএফ) অর্থায়নের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোরিয়ান সরকার। যা আগামী পাঁচ বছরে শূন্য দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করবে।
কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন(কেবিএএ) -এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে ‘কোইকা অ্যালামনাই নাইট’ নামে গ্র্যান্ড বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আরও পড়ুন: তৃতীয় এফএমসি: বিস্তৃত অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্মত ঢাকা ও সিউল