তিনি বলেন, ‘দালালদের হাতে সাধারণ জনগণ যেন প্রতারিত না হয়, সেজন্য আমাদের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। তাদের সুরক্ষা এবং কল্যাণ দেখাশোনা করার দায়িত্ব আমাদের, কারণ তারা আমাদের নাগরিক।’
প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে অভিবাসন বিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম সভায় দেয়া ভাষণে একথা বলেন।
বিদেশে গমনেচ্ছুদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ওপরও জোর দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে কর্মক্ষম যুবসমাজ রয়েছে, সেটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি। বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষতা আমরা বাড়াতে পারি। এখন আমরা শুধু লেবার পাঠাব না। আমরা স্কিলড ম্যানপাওয়ার, অর্থাৎ দক্ষ জনশক্তি পাঠাবো।’
বিদেশে মেয়ে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মেয়ে শ্রমিকরা অনেক দেশে যাচ্ছেন।
‘কিন্তু এই মেয়ে কর্মীরা কি এই ধরনের কাজ পরিচালনা করতে সক্ষম? আমাদের এগুলোও দেখতে হবে,’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রশিক্ষণ না নিয়ে যদি কেউ বিদেশে যায় তবে ওই ব্যক্তি কাজটি করতে পারবে না।
‘সুতরাং, তারা শেষ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হবে। এটি বন্ধে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি, তবুও মানুষ দালালদের খপ্পরে পড়ে বিপদে পড়ে যায়,’ বলেন তিনি।
মানুষ যাতে দালালদের খপ্পরে না পড়ে সেজন্য জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। দালালরা প্রায়শই নিরীহ গ্রামীণ মানুষকে প্রলুব্ধ করে, উল্লেখ করেন তিনি।
‘তারা (দালাল) সোনার হরিণ ধরার স্বপ্ন দেখিয়ে মানুষের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের বিদেশে পাঠায়। এরপর তারা আরও টাকার জন্য তাদের আত্মীয়-স্বজনকে চাপ দেয়। এভাবে কিন্তু একটা অনিয়ম প্রচলিত আছে,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশে যে শ্রমিকরা যাচ্ছেন তাদের প্রতারণা বন্ধে আরও শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা দরকার। শ্রমিকরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। যা আমাদের দারিদ্র বিমোচন এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
‘যারা কাজের জন্য বিদেশ যাচ্ছে তাদের জীবন বৃত্তান্ত সহযোগে একটি ডাটাবেজ প্রস্তুত করুন,’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দালালদের কাছে না যেতে এবং ডিজিটাল কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে নিবন্ধন করে বিদেশ যেতে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছে।
ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যাতে মানুষ বিদেশ যেতে পারেন সেজন্য সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে, বলেন তিনি।
এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।