অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনে দুদকের করা মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানকে পৃথক দুই ধারায় আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভুইয়ার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দুই সহযোগীসহ সেলিম প্রধান আবারও রিমান্ডে
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে সেলিম প্রধানকে চার বছর কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে তাকে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
এছাড়া মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে চার বছর কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে তাকে আরএ ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে পৃথক দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাকে চার বছর কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থেকে সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তার স্ত্রীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, রায় দিয়ে সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করা সম্ভব না। তাই দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেবেন না। দাওয়াত দিলে যাবেন না। জেনেশুনে কারও দাওয়াতে যাওয়া মানে রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান নেওয়া। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান।
চার্জশিটে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বর্হিভুত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও ইউএসএতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: অনলাইন ক্যাসিনো: সেলিম প্রধানের বাসা, অফিস থেকে ১ কোটি টাকা জব্দ