তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে না যেখানে কম্পিউটার ল্যাব এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম থাকবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদকালের মধ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। শেখ হাসিনার রূপকল্প বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধ পরিকর।’
শুক্রবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট উৎক্ষেপণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি স্বাধীন দেশের জন্য গৌরবের বিষয়। দ্বিতীয় বিষয় হলো বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে পারছি।
‘এছাড়া তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারছি। আমাদের দুর্যোগপূর্ণ দেশ। যার ফলে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চলের সাথে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইটকে ব্যবহার করছি। ইতিমধ্যে আমরা এর সুবিধা পেতে শুরু করেছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কেবলমাত্র নামের দিক থেকে গৌরবের না, কাজের দিক থেকেও অনেক গর্বের,’ যোগ করেন তিনি।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল ইসলাম, পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক পরিচালক মো. জালাল মিয়া, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবায়েত হায়াত শিপলু প্রমুখ।