ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা মঙ্গলবার এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং এর সম্মুখীন হয়েছেন।
নগরীর তেজগাঁও এলাকার এক বাসিন্দা জানান, সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তারা এক ঘণ্টার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হন, অন্যদিকে নিকেতনের আরেক বাসিন্দা জানান,তাদের এলাকায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।
একটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির নির্বাহী মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বনানীতে তাদের অফিস দুপুর ১২টা থেকে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে প্রভাবিত করে জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় দৈনিক দুই ঘণ্টা লোডশেডিং এর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকার কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং, জানাল ডিপিডিসি
পরে দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সংশোধিত সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘এলাকা অনুযায়ী, আমরা সারা দেশে প্রতিদিন এক ঘণ্টার লোডশেডিং শুরু করব। প্রয়োজন হলে, সিদ্ধান্তটি এক সপ্তাহ পরে পুনর্বিবেচনা করা হবে।’
সরকার রাত ৮ টার মধ্যে শপিং মল বন্ধ, এয়ার কুলারের সীমাবদ্ধ ব্যবহার সহ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে। অফিসের সময় সীমিত করার পরিকল্পনাও চলছে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং সরকারের ভুল নীতির ফল: বিএনপি