এছাড়া, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৬৪ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৪১ হাজার ১৫৯ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১৭ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৮২৩টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৭ হাজার ৫৩১টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২৬ লাখ ৬ হাজার ৯৫২টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: শ্যালকের করোনা পজিটিভ, কোয়ারেন্টাইনে ফখরুল
নতুন যে ৩০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ এবং নারী পাঁচজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৮৫২ জন বা ৭৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৪৫৩ জন বা ২৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭২২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমকি ৮৬ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ১৪৯ জনে।
এছাড়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- এদিন সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৬১ লাখ ১২ হাজার ২৬৭ ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: কোভিড পজিটিভ শনাক্ত না হয়েও শিশুরা প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিকাশ করতে পারে: গবেষণা
গত বছর চীনের উহানে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। পরে চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
এদিকে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ১ কোটি ১৫ লাখ ২৫ হাজার ১৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৮৯ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৫৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৫ জনের।