রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কাভার্ডভ্যান চাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় ওই নারীর স্বামী আহত হন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়ার ৩নম্বর ফেরিঘাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মর্জিনা বেগম (৪০) ফরিদপুর শহরের কোতোয়ালী থানার চর কমলাপুর মহল্লার মো. ইমারত উদ্দিন মোল্লার স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় এক মাস আগে ইমারত-মর্জিনা দম্পতির ১২ বছর বয়সী ছেলে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কয়েকদিন আগে তারা জানতে পারে তাদের ছেলে মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাট এলাকায় রয়েছে। ছেলের সন্ধানে শনিবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে মানিকগঞ্জ যান। সেখান থেকে কাজ শেষ করে স্বামীকে সঙ্গে করে মর্জিনা বেগম ফরিদপুর শহরের বাড়িতে ফিরছিলেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে একটি ডাম্প ফেরিতে করে নদী পাড়ি দিয়ে মর্জিনা বেগম তার স্বামীর সাথে দৌলতদিয়ার ৩নম্বর ঘাটে ভিড়ে ফেরি থেকে নেমে সংযোগ সড়কে উঠছিল। এসময় ফেরি থেকে নেমে আসা দ্রুত গতির একটি কাভার্ডভ্যান ফেরিঘাট সড়কের ওপরে ওঠার সময় পিছন থেকে আঘাত করলে গাড়ির নিচে পরে পিছনের চাকার নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মর্জিনা বেগমের মৃত্যু হয়। গাড়ির আঘাতে তার স্বামী ইমারত উদ্দিন মোল্লাও আহত হন।
এসময় স্থানীয় জনতা কাভার্ডভ্যান চালক সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও কাভার্ডভ্যান আটক করে।
দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, নিহত মর্জিনা বেগম ডাম্প (টানা) ফেরিতে এসে দৌলতদিয়ার ৩নম্বর ঘাটে নামে। এসময় একটি কাভার্ডভ্যান ফেরি থেকে নেমে ঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়কের ওপরে উঠার সময় পিছন থেকে আঘাত করলে চাকার নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে ওই নারীর মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ঘাতক কাভার্ডভ্যানসহ চালক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য শনিবার রাতেই রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই নিহতের স্বামী ইমারত মোল্লা বাদী হয়ে চালককে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।