সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
চলতি বছরের জুন মাসে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. নূর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
শনিবার সাকল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতেই সিলেট বিভাগের প্রথম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মিত হয়
এর আগে ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
প্রথম মেয়াদে দায়িত্বকালে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বৃদ্ধি, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মানুবর্তিতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার উপর গুরুত্বারোপ, সেশনজট নিয়ন্ত্রণ, একযুগ পর তৃতীয় সমাবর্তন আয়োজন, অবকাঠামো উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে সিলেট সিটি করপোরেশনে আওতাভুক্তকরণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আইসিটি গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড ২০১৭ এবং ডিজিটাল ক্যাম্পাস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ অর্জন, করোনা পরীক্ষায় নিজস্ব অর্থায়নে পিসিআর ল্যাব চালু, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, পরিবহন খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ বেশকিছু উল্লেখযোগ্য মেগা ইস্যুর সমাধান ও অর্জন করতে সক্ষম হয় শাবিপ্রবি।
এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় প্লেজারিজম মুক্ত রাখতে টার্ন-ইট-ইন সফটওয়্যার চালু, গবেষণায় বরাদ্দ সাতগুণ বৃদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চালু, চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য কোটা চালু ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আবাসন ব্যবস্থা চালু, ক্যাম্পাসকে র্যা গিংমুক্তকরণ, সার্টিফিকেট যাচাইয়ের জন্য ব্লক চেইন পদ্ধতি চালু, করোনায় অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, অনলাইন ক্লাসের জন্য শিক্ষকদের প্রণোদনা ও ঋণ প্রদান, শিক্ষার্থীদের ডাটা প্যাকেজ প্রদান, ক্যাফেটেরিয়া খাবারের মান বৃদ্ধি, লাইব্রেরি ও মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন, খেলাধুলায় বাজেট বৃদ্ধি, প্রশাসনিক ভবনসমূহে বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিকরণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও গৃহ নির্মাণের জন্য ঋণ সুবিধা দেয়া প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অবদান ছিল প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ১১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পেলেন ইরাসমাস স্কলারশিপ
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের স্মৃতির রক্ষার্থে কাজ করতে চাই। সিলেট অঞ্চলের সর্বোচ্চ এই বিদাপীঠের শিক্ষার্থীরা একসময় এই বাংলাদেশের সর্বস্তরে নেতৃত্ব দেবে। সামনের দিনগুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি এগিয়ে যাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংস্কৃতি চর্চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বক্ষেত্রে সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করে যাব।