ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর সাথে সংহতি প্রকাশ করে তার সাথে থাকা ফাল্গুনী দাস তন্নী বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে গুরুতর অসুস্থ ও জ্বর থাকার কারণে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় এবং এ সময় তার শরীরের তাপমাত্রার ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার যুগ্ম-সম্পাদক এবং হল সংসদের সাবেক এজিএস ফাল্গুনী বলেন, পরে উন্নত আবাসন সুবিধার জন্য ওই ছাত্রীকে শনিবার ভোর ৫টার দিকে ঢাবি মেডিকেল সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। তখনও তিনি অজ্ঞান ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী শনিবার সকালে ১০২ ডিগ্রি জ্বর নিয়েই টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ শুরু করতে যেতে চাচ্ছিলেন।
ঢাবি মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. সরোয়ার জাহান মুত্তাফি বলেন, ‘আমার কাছে ওই শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যেসব প্রতিবেদন এসেছে তা স্বাভাবিকই ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী প্রচণ্ড রোদ এবং মুষলধারে বৃষ্টিতে অনশন করে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে জ্বরে আক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক।’
এর আগেও, একবার অসুস্থ হয়ে পড়লে বিক্ষোভের জায়গাতেই তাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছিল।
ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়ায় মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বরখাস্ত আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ও আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ওই শিক্ষার্থী গত ৮ অক্টোবর রাত থেকে অনশন শুরু করেন।
ধর্ষণে মামুনকে সহায়তা করার পাঁচ আসামির মধ্যে অন্যতম হলেন ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূর।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনটি পৃথক থানায় চারটি এবং ধর্ষণ ও ধর্ষণ-পরবর্তী হয়রানির অভিযোগে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।