বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এক অসুস্থ তরুণী রবিবার বিকাল পৌনে ৫টায় ফোন করে জানান তিনি গর্ভবতী এবং গুরুতর অসুস্থ, তার প্রচুর রক্তপাত হচ্ছে, তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। কিন্তু তার সাথে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ নেই। তার বাবা-মা বেঁচে নেই। তিনি এক দূর সম্পর্কের খালার বাসায় থাকতেন।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে ধর্ষণের শিকার হয়ে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি। সে সময়ও তিনি ৯৯৯ এ ফোন করেছিলেন এবং ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে ভান্ডারিয়া থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছিল এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছিল।
আরও পড়ুন: ঘুমের ওষুধ খেয়ে ৯৯৯ নম্বরে যুবকের ফোন, হাসপাতালে নিল পুলিশ
৯৯৯ এ ফোন কলে যৌন পল্লী থেকে তরুণী উদ্ধার
পরবর্তীতে ভান্ডারিয়া থানায় তরুণীর মামলার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি জেল খেটে কিছুদিন আগে জামিনে বেরিয়ে আসে। অপরাধীর ভয়ে তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় স্বজন কেউ তাকে সাহায্য করতে রাজি হচ্ছেনা অভিযোগ করে ওই তরুণী কান্নায় ভেঙে পড়ে ৯৯৯ এর কাছে তার জীবন বাঁচানোর জন্য এবং তাকে বরিশাল মেডিকেল পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানায়।
কল পেয়ে ৯৯৯ তাৎক্ষনিকভাবে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের সাথে যোগাযোগ করে কিন্তু তারা আত্মীয় পরিজন বিহীন নিঃসঙ্গ তরুণীকে বরিশাল নিয়ে যেতে অনীহা প্রকাশ করছিল। পরবর্তীতে ৯৯৯ মেয়েটির কাছ হতে তার এক আত্মীয়ের ফোন নাম্বার নিয়ে তাকে ফোন করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে রাজি করায় এবং একই সাথে এক বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স সরবরাহকারীকে তাকে বরিশাল নিয়ে যেতে রাজি করানো হয়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ নম্বরে ফোন: ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ৩
চাকরি চলে যাওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা, ৯৯৯ ফোনকলে উদ্ধার
রবিবার সন্ধ্যায় তরুণীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিখেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
পরদিন আজ সোমবার দুপুরে ৯৯৯ থেকে ফোন করে তরুণীর খোঁজ খবর নেয়া হলে তিনি জানান তার শরীর এখনো বেশ খারাপ, তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে এবং তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ মায়ের ফোন: মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টাকারী ব্যক্তি আটক