নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মিনারুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় সাবেক সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৪৩০ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় আইভী ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানসহ ১৩০ জনকে এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহতের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, কায়সার হাসানাত, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর মতি, নূর উদ্দিন মিয়া, শাহজালাল বাদল, শাহ নিজাম, আইভীর ভাই শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জল, সাংবাদিক রাজু আহাম্মদ, আইনজীবী সুইটি ইয়াসমিন, কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, আতাউর রহমান মুকুল।
আরও পড়ুন: পৃথক হত্যা মামলায় আবদুল্লাহ আল–মামুন ও শহীদুল হক রিমান্ডে
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসীরা ছাত্র-আন্দোলনকে প্রতিহত করতে আদমজী রোডে আল আমিন নগর পাওয়ার হাউজের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এসময় শটগান, পিস্তল, তলোয়ার, রামদা, চাপাতিসহ দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চারিদিকে গুলি ছুড়তে থাকে। তখন তার ভাই মিনারুল মুজিব ফ্যাশনের সামনে এলে শামীম ওসমান তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তার ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে সাইদুল, কাওসার ও ডালিম অটোতে করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিনারুলকে মৃত ঘোষণা করেন।