জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আইনের পাশাপাশি সকলক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ২০৩০ সাল খুব সন্নিকটে এবং নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে লক্ষ্যগুলো অর্জনে সময় খুব বেশি নেই। নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষ সমতা আনয়নে নারীর প্রতি সহিংসতা একটি জটিল বাধা। প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, অভ্যাস, আর্থ-সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, লিঙ্গ বৈষম্য নিরসনে নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রসার জরুরি। উদ্ভাবনী নীতি ও আইন প্রণয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিক নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: তিন সম্মেলনে যোগ দিতে ভিয়েনা গেলেন স্পিকার
সোমবার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ‘উইমেন স্পিকার্স অফ পার্লামেন্টের’ ১৩তম সামিটে ‘২০৩০ সালের মধ্যে নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা, বাল্যবিবাহ ও নারীদের জন্য ক্ষতিকর অন্যান্য প্রথাগুলো বিলীন হয়ে যাবে’ শীর্ষক আলোচনায় স্পিকার এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, বিভিন্ন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা সত্ত্বেও আমরা নারীর ক্ষমতায়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এখনও পৌঁছাতে পারিনি। নারীর প্রতি সহিংসতা সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। এজন্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা একান্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: সমতার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্পিকার
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নারীদের জন্য উদ্ভাবনী পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি। করোনা মহামারি এই সময়ে নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। যথাযথ আইন থাকা সত্ত্বেও এখনও বাল্যবিবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বাল্যবিবাহ রোধে পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামো মেয়েদের জন্য শক্তিশালী করা প্রয়োজন। নারী নেতৃত্বকে সামনে এগিয়ে নিয়ে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হতে হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ আর নেই
ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) উদ্যোগে এবং জাতিসংঘ ও অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্টের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জিম্বাবুয়ের সিনেট প্রেসিডেন্ট ম্যাবেল এম চিনোমনা, ওএসসিই পার্লামেন্টারি এসেম্বলির মার্গারেটা সেডারফেল্ট, স্পেনের কংগ্রেস অফ ডেপুটিজের প্রেসিডেন্ট মেরিটজেল ব্যাটেট, উরুগুয়ে জেনারেল এসেম্বলির প্রেসিডেন্ট বিয়াট্রিজ আরজিমন, মোজাম্বিক এসেম্বলির স্পিকার স্পেরানকা লরিন্দা ফ্রান্সিসকো নিউয়ান বায়াসসহ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ।