প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজের ভাগ্য বদলাতে নয়, দেশের ভাগ্য বদলাতে কাজ করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও ডিজিটাল দেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি, অপশক্তিরা যতই মাথা চাড়া দিয়ে উঠুক দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
দুই দিনের সফরের প্রথম দিনে শনিবার (১ জুলাই) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ব্যক্তিগত কাজ রেখে এই বৃষ্টির মধ্যে ছুটে এসেছি শুধুমাত্র আমার এলাকার জনগণের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এবং তাদের বর্তমান অবস্থা স্বচক্ষে দেখতে।
চলমান দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলার সময় তিনি কোটালীপাড়া টুঙ্গিপাড়াসহ দেশের এক ইঞ্চি জায়গা ও যেন ফাঁকা পড়ে না থেকে সে বিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের মোকাবিলা করতে নিজেদের কৃষিতে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন বৃষ্টি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। এই বৃষ্টির পানি মানুষ ও ফসলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বৃষ্টির পানিতে ফসল উৎপাদন ভাল হয় তাই বৃষ্টি কে আশির্বাদ মনে করতে হবে।
সবশেষে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ও আধুনিক বাংলাদেশে বিনির্মাণে সকলের সহায়তা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, শনিবার সকাল ৮টায় গণভবন থেকে সড়কপথে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ৮টা ৫০ মিনিটে পদ্মা সেতু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোটালীপাড়া পৌঁছান। সফরে তার সঙ্গী হয়েছেন আইসিটি উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন আওয়ামী লীগ সভাপতিকে।
পরে তিনটি গাছের চারা রোপণ করে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্থানীয় নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
পরে দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে সূরা ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী তার টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে বিশ্রামে যান। রাতে সেখানে তিনি রাত্রিযাপন করবেন।
আগামীকাল ২রা জুলাই সকাল ৯টায় টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঈদুল আজহা উপলক্ষে রোববার সকালে দলীয় নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
একইদিন (২রা জুলাই) বিকালে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
প্রসঙ্গত, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা। এই এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ৭ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে দুই দিনের সফরে কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঈদের দিন মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী