সিডি বা পেনড্রাইভে কপি রেখে বাকি ফুটেজ সরাতে বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, ওই নারীর পরিবারকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ (ভার্চুয়াল) এ আদেশ দেয়।
একই সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগীর বক্তব্য গ্রহণে পুলিশের কোনো অবহেলা আছে কি না তা অনুসন্ধান করতে কমিটি করে দিয়েছে আদালত। নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা এবং চৌমুহনী সরকারি এসএ কলেজের অধ্যক্ষকে ঘটনা অনুসন্ধান করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় করা ফৌজদারি মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে ২৮ অক্টোবর আদালতকে প্রতিবেদন দিতে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অবহেলার কারণে বেগমগঞ্জের ওসি ও থানার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৩২ দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হলে রবিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছ্নে চারজন।
বিষয়টি সোমবার সকালে হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেডআই খান পান্না ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ বিষয়ে শুনানিতে আদালত বলে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না আসলে তো বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যেত।