গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে নৌকায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. সাদিকুল ইসলাম কনক (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকালে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসি ঘাট এলাকায় যমুনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ কলেজছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় ও ধর্ষককে আদালতে পাঠানো হয়।
মো. সাদিকুল ইসলাম কনক বোয়ালী খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা মো. ইউনুস আলী ছেলে।
ফুলছড়ি থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, কিছুদিন আগে ফেসবুকে সাদিকুল ইসলাম কনকের সঙ্গে কলেজছাত্রীর পরিচয় হয়। ধর্ষিতার অভিযোগ, কনক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বালাসি ঘাটে ডেকে নিয়ে যান। পরে সুযোগ বুঝে তাকে নৌকায় ঘুরতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সে তাকে ফেলে পালিয়ে যেতে থাকলে ঘটনাটি বুঝতে পারে ও তাকে জাপটে ধরে চিৎকার করলে লোকজন এসে গণপিটুনির পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ধর্ষণচেষ্টায় প্রেমিকের বন্ধুকে ব্লেড দিয়ে আঘাত তরুণীর
এদিকে স্থানীয়রা জানান, নৌকা তীরে ভিরলে ধর্ষক সাদিকুল পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় কলেজছাত্রী ধর্ষকের কলার চেপে ধরে চিৎকার করলে স্থানীয়রা সাদিকুল ইসলাম কনক (২৫) নামে এক যুবককে ধরে ফেলে। মেয়েটির মুখে ধর্ষণের কথা জানতে পেরে বালাসীঘাটে অবস্থানরত জনগণ ধর্ষককে গণপিটুনি দেয়। তারা ধর্ষক সাদিকুলের দুই পা পিটিয়ে ভেঙ্গে দেয়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফুলছড়ি থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষিতার মা মিরা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ধর্ষক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’