পঞ্চগড়ে ১৬ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা সাইফুল ইসলামকে (৪৯) আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৩০ জুন) পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বিএম তারিকুল কবির এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে জেএমবির ২ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এর আগে, ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলার ৭ মাসের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করে এ দণ্ডাদেশ দেন বিচারক।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছর আগে দুই মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন মামলার বাদী। এদিকে, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাবার বাড়িতে যায় ভুক্তভোগী। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বাবার ঘরেই আলাদা বিছানায় রাতে ঘুমাচ্ছিল মেয়েটি। এই সুযোগে বাবা সাইফুল ইসলাম তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন।
পরে মেয়েকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। এতে ভুক্তভোগী মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলাটি তদন্ত করে গত ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুজ্জোহা সরকার।
পরে ৭ মাস ধরে ৮ জনের সাক্ষ গ্রহণ শেষে ও মামলার বিচারকাজ শেষে আদালত রবিবার এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে গিয়ে মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজার রহমান আজু বলেন, এ রায় সমাজের জন্য একটি বার্তা। এতে করে অপরাধীরা অপরাধ করতে আর সাহস পাবে না।
আরও পড়ুন: নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সুইজারল্যান্ডে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধনকুবেরসহ পরিবারের ৪ জনের কারাদণ্ড