প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করার জন্য শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মহামারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং শিক্ষকদের নিজ উদ্যোগে মোবাইল ফোন ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের তথ্য জানানো হয় গত ৮ মার্চ। পরে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে এ সাধারণ ছুটির মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয় এবং আসন্ন শীত মৌসুমে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় ছুটির বর্তমান মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: মাস্ক পরতে বাধ্য করতে কঠোর হবে সরকার: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
এদিকে, সরকার ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও সমমানের ইবতেদায়ি পরীক্ষা না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করার জন্য অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।
করোনাভাইরাস সাধারণত কাছাকাছি থাকা এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির মাঝে ছড়িয়ে থাকে। সরকার বলছে যে শিক্ষার্থীদের তারা এ ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।
বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬০ জন এবং মারা গেছেন ৬ হাজার ৪১৬ জন। সরকার ভাইরাস রোধে ইতোমধ্যে ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য চুক্তি করেছে।