পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু।
গত ৯ জুন ঢাকার বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২৫ (২), ২৯ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ ধারায় মামলাটি করেন সাবেক ওই এমপি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) সন্ধ্যার পর মুঠোফোনে সৈকতকে বিষয়টি অবহিত করার পর পাবনার গণমাধ্যম জানতে পারে।
সৈকত সময় টিভি, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর পাবনা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাবনা মেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এদিকে, মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পাবনার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর্জা আজাদ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদ সভাপতি আব্দুল মতীন খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক কাজী বাবলা, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি পাবনার সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামসহ অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক সবুর কারাগারে
এক বিবৃতিতে সাংবাদিকরা বলেন, খন্দকার আরজু যে সংবাদটি উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেছেন, তা প্রকাশের আগে সাংবাদিকতার নীতিমালা মেনে তার বক্তব্য নিয়ে ওই সংবাদটিতে তা প্রকাশও করা হয়েছে। দেশের মূলধারার অধিকাংশ গণমাধ্যমগুলোতে একই সংবাদ প্রকাশিত হলেও সম্পূর্ণ আক্রোশ বশত কেবল পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদকের বিরুদ্ধেই তিনি মামলাটি করেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ৮ মার্চ বেড়া উপজেলার নাটিয়াবাড়িতে একটি অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং জড়িত দুজনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে পরদিন বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে ‘সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজুর ভাতিজার বাড়িতে অভিযান’ চালানো হয়েছে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় যুগান্তরের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি গ্রেপ্তার