রাঙ্গামাটি জেলায় গত কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টির ফলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে শহরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার রাত ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে সেখান থেকে সাধারণ মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে নির্দেশনা দেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বেশ কিছু লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন।
এই সময় তার সঙ্গে রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের টিম, রেড ক্রিসেন্ট, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা
জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণের ফলে সম্ভাব্য পাহাড় ধসের প্রাণহানী ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জরুরি সভা করেছি এবং রাঙ্গামাটি শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে সচেতনতা মূলক প্রচারণা ও মাইকিং করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে এবং বৃষ্টি হলেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় গিয়ে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
জেলা প্রশাসক বলেন, ভারী বর্ষণের কারণে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি শহরের লোকনাথ মন্দির, শিমুলতলি, রূপনগর, মোনঘর এলাকাসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শহরে ২৮টি ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।