তিনি বলেন, ‘প্রকৃতির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধে, আমরা কেবল হেরেই যাব। আমাদের সব কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে সচেতনভাবেই আমরা আমাদের বাঁচিয়ে রাখার অতিপ্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছি। সুতরাং পৃথিবীকে রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়ার এখনই সময়, আগামীকাল নয়।’
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ‘মিডনাইট সারভাইভাল ডেডলাইন ফর দ্য ক্লাইমেট’ শীর্ষক জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামের (সিভিএফ) লিডার্স ইভেন্টে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সিভিএফ’র বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে বৈশ্বিক নেতাদের এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা।
তিনি এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে প্যারিস চুক্তির কঠোর বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকারের শুধু প্যারিস চুক্তির আওতায় জাতীয় অবদানে সন্তুষ্ট থাকা উচিত হবে না। তাদের লক্ষ্য ও অবদান আরও বাড়ানো দরকার। জলবায়ু ও পৃথিবীর জন্য ‘ক্লাইমেট জাস্টিস’ ধারণাটি অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
প্রযুক্তিতে প্রবেশ সুবিধার পাশাপাশি অর্থায়নে বড় অর্থনীতির দেশগুলো, মাল্টিলেটারাল উন্নয়ন ব্যাংকস (এমডিবি) ও আর্ন্তজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (আইএফআই) জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
লোকসান ও ক্ষতি মোকাবিলায় আরও সাহসী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ প্রশমন, অভিযোজন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও পুনরুদ্ধারে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রতিবছর কমপক্ষে ১০০ বিলিয়ন ডলার সরবরাহ নিশ্চিত করা উচিত।’
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের (জিসিএ) চেয়ার জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, সিভিএফ দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।