ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, (ইউএনবি)- কেনাকাটার সময় প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে সকল গ্রাহক ও ক্রেতাদের দারাজ বাংলাদেশের আসল ওয়েবসাইট ভিজিট করার আহ্বান জানিয়েছে দারাজ বাংলাদেশ (https://www.daraz.com.bd/) কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ডিএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিটিটিসি) প্রতারণার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী,আটক ব্যক্তি দারাজ বাংলাদেশের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। দারাজ বাংলাদেশের মূল ওয়েবসাইটের অনুকরণে দারাজ ডট সিএল ডোমেইন নামে ভুয়া ওয়েবসাইট ও ‘দারাজ বাংলাদেশ’ নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করা হতো ও অবৈধ পণ্য বিক্রি করা হত, যার ফলে দারাজের যথেষ্ট সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে এবং ক্রেতারা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের প্রতি আংশিকভাবে আস্থা হারিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই প্রতারক চক্র ক্রেতাদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন এমএফএস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতো এ চক্র।
আরও পড়ুন: দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে রেকর্ড
এর প্রেক্ষিতে দারাজ বাংলাদেশ সকল ক্রেতাদের সন্দেহজনক কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার ও দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার অনুরোধ জানিয়েছে।
দারাজ সবসময় দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সঠিকভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণার বিপরীতে দারাজ ইতোমধ্যেই বনানী থানায় মামলা করেছে।
দারাজের মাধ্যমে প্রতারণার কোনো সুযোগ নেই। দারাজের https://www.daraz.com.bd/ শুধুমাত্র এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই ক্রেতারা পণ্য অর্ডার করতে পারবেন। এবং দারাজ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হচ্ছে- https://www.facebook.com/DarazBangladesh।
এ ব্যাপারে দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস বলেন, “ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি, আমরা এর সাধুবাদ জানাই। আমাদের ক্রেতা ও ই-কমার্স খাতের জন্য ইতিবাচক ফলাফল নিশ্চিতে দারাজ ডিএমপি’কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। দারাজ এর ক্রেতাদের সবসময় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং তাদের জন্য নিরাপদ শপিং নিশ্চিত করাকে আমরা অগ্রাধিকার দেই। আমরা আমাদের সকল ক্রেতাদের দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে সঠিক চ্যানেল ব্যবহারের অনুরোধ করছি।”
ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে তাদের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেন- “সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণায় এখন অভিনব নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতারকরাও সময়ের সাথে সাথে স্মার্ট হয়ে উঠছে। সবাইকে এখন এসব ট্রেন্ডের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং কোনো সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আসল ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।”
আরও পড়ুন: দারাজের বৃহত্তম ওয়ান-ডে সেল ১১.১১ ক্যাম্পেইন চলছে
দারাজ:
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ, অসংখ্য বিক্রেতাকে লক্ষাধিক ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করেছে। একশো’রও বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক এবং সহজ সুবিধাদানের সাথে সাথে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি পণ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ।
দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একইসাথে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারেরও বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে। দারাজ বিভিন্ন লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলোকে মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান এবং নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যেকোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ গর্বের সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে, দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ