শুক্রবার এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন লিগ্যাল অ্যাকশন ওয়ার্ল্ডওয়াইড (ল) এর সহযোগিতায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বড় প্রস্থানের পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘রোহিঙ্গা সমস্যা: প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল সেমিসার আয়োজিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ: আট মাসে মৃত্যু ২২
সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. মুস্তাফিজুর রহমান তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্ননকে ত্বরান্বিত করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে অর্থপূর্ণ সংলাপে নিয়োজিত হতে পারে। বাংলাদেশ এই বিষয়ে একটি সমাধান খুঁজতে মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘আঁরা রোহিঙ্গা’ বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
সেমিনারে বক্তারা নাগরিক হিসেবে তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার এবং সকল বৈষম্যমূলক আইন বাতিলের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারে উপযোগী পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেন।
তারা বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলমান সব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
আইনের প্রধান আন্তোনিয়া মালভেই সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন এশিয়া জাস্টিস কোয়ালিসন সচিবালয়ের প্রধান প্রিয়া পিল্লাই, জাতিসংঘে মিয়ানমার সংক্রান্ত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিসিআর বঙ্গবন্ধু চেয়ার শহীদুল হক এবং রোহিঙ্গা এক্টিভিস্ট ইয়াসমিন উল্লাহ প্রমুখ।