পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল, অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতির সোনার বাংলা গড়ার মিশন নিয়েছেন। যেখানে ধনী-দারিদ্র্যের আকাশসম পার্থক্য থাকবে না।
শনিবার সন্ধ্যায় শহরতলীর খাদিমনগরের যেহীন আহমদ মিলনায়তনে ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ (এফআইভিডিবি) আয়োজিত শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দেশের মানবসম্পদকে কাজে লাগানো গেলে সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব। তাই, দেশের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, অতিদারিদ্রের সংখ্যা পাঁচ শতাংশের নিচে নামলে দেশ দারিদ্রমুক্ত বলে গণ্য হয়। আমাদের দেশে এখন অতিদারিদ্রের সংখ্যা সাড়ে ১০ শতাংশ। করোনার কারণে দারিদ্র্যের হার কমছে না। তবে, আমরা লক্ষ্য বাস্তবায়নে সফল হবো।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কুয়েত, রোমানিয়াসহ ইউরোপের বিশ্বের বিভিন্ন দেশ স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ লোকবল নিতে আগ্রহী। আমরা সেভাবে লোকবল পাচ্ছি না। অনেক স্কলারশিপও পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে জানে না বলে আবেদন করেন না।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর বঙ্গবন্ধু উচ্চশিক্ষা বৃত্তি-২০২১ চালু করা হয়েছে। এজন্য মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত তিন জন এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দুই জন শিক্ষার্থীকে আগামী চার বছর প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
এফআইভিডিবি পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সাফওয়ান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, এফআইভিডিবির নির্বাহী পরিচালক বজলে মোস্তফা রাজী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান, এফআইভিডিবি পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।