জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
বৈঠকে এসডিজি, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা, কোভিড-১৯ এর প্রভাব এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিশ্বে খাদ্য সংকটের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন সংস্থাগুলোর রাজনীতিতে নয়, উন্নয়নের বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে হবে: মোমেন
তিনি বলেন, তার সরকার সংকট নিরসনে সব পতিত জমি চাষের আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী এমনকি ছাদেও খাদ্য ও সবজি চাষের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, তার সরকার কৃষি খাতে গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ইতোমধ্যে লবণাক্ত ও বন্যা-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন এবং সেগুলো আরও উন্নত করার জন্য কাজ করছেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু, তারা আমাদের জন্য একটি বড় বোঝা হয়ে উঠেছে। এটি সামাজিক সমস্যা তৈরি করেছ,’।
আমিনা জে মোহাম্মদ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ৫২টি দেশ এখন সংকটের দ্বারপ্রান্তে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের একসঙ্গে সংকট মোকাবেলা করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’
তিনি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের প্রশংসা করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদ বাংলাদেশের: সুইডিশ দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব