বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসের শ্রম উইংয়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দুই সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল শক্তিগুলোর একটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসীরা বিদেশে অনেক কষ্ট করেন। বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে তারা যেন ভালো আচরণ পান।
প্রবাসীদের উন্নত মানের সেবা প্রদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের কর্মকর্তারা দক্ষতার সাথে শ্রমবাজার আরও সম্প্রসারণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রত্যেকটি দেশের সরকার কাজ করবে এবং এ ক্ষেত্রে প্রথম সুযোগ যেন বাংলাদেশ সরকার নিতে পারে সেই লক্ষ্যে দূতাবাসগুলোকে কাজ করার নির্দেশনা দেন শাহরিয়ার আলম।
তিনি উল্লেখ করেন, ফ্রি ভিসা বলতে কিছু নেই। কোনো কোনো শ্রমিক টুরিস্ট ভিসায় বিদেশে গিয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়লে তারা বাংলাদেশি অন্য শ্রমিকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। মাঝে মাঝে দূতাবাস কেন্দ্রিক কিছু চক্র গড়ে উঠে। এদের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে বেশকিছু ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্ব স্ব দেশ মামলা করে সেদেশের আইন অনুযায়ী তাদের দেশে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশে ফিরে আসার পর তারা কারাগারে আছে। এ ধরনের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। কেউ যেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে পা না বাড়ান সেজন্য দেশের নাগরিকদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক মাসে করোনা পরিস্থিতিতেও প্রবাসী আয় বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে শ্রমবাজার ঝুঁকিতে থাকলেও বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো করছে। সামনের দিনগুলোতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, যেসব প্রবাসী চাকরি হারিয়েছেন তাদের ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় তহবিল গঠন করেছে। তাদের ঋণ দিচ্ছে এবং তাদের নতুন কর্মে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।