বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশে আছেন তারা দেশে না আসলে ভালো হয়। প্রবাসীদের প্রয়োজন ছাড়া দেশে আসার দরকার নেই। আসলে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।’
‘যে লোকটি বিদেশ থেকে আসছে জনগণ তাকে চিহ্নিত করছে এবং তাকে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
দেশে নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেককে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি। যাদের করোনাভাইরাস নেই, তাদেরকে আমরা ছেড়ে দেব।’
দেশে আক্রান্ত হওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন পুরোপুরি সুস্থ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের যেকোনো সময় ছেড়ে দেয়া হবে। আর অপরজনের অবস্থাও স্থিতিশীল রয়েছে।’
বিশ্বের বড় বড় দেশ করোনাভাইরাস নিয়ে সমস্যায় পড়েছে উল্লেখ করে ডা. জাহিদ মালেক বলেন, ‘দুইমাস আগে থেকে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি, এজন্য এখনও সেভাবে সংক্রমিত হইনি। দেশের সবাই যার যার অবস্থান থেকে আমাদের সহযোগিতা করুন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দুর্যোগ থেকে আমাদের সোনার বাংলাকে বাঁচাতে পারব।’
করোনায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি জানায়, এখন সব মিলিয়ে ১০টি থার্মাল স্ক্যানার আছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট ও বেনাপোল স্থলবন্দরে ১ টি করে স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে বাকিগুলো প্রয়োজনমতো বসানো হবে।