বর্তমানে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ৩৭ হাজার ৯২৬টি পদ শূন্য রয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
সংসদ সদস্যদের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের ২৯ হাজার ৮৫৮টি এবং সহকারী শিক্ষকের ৮ হাজার ৬৮টি পদ শূন্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে ৯ম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতি দাবি এটিইওদের
তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের ১ হাজার ৯৫৫টি শূন্যপদ পূরণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে একটি রিকুইজিশন পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ৪ লাখ ২৭ হাজার। এর মধ্যে ৩ লাখ ৯০ হাজার শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
এদিকে, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানমের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংসদে বলেন, প্রতিটি জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি সংসদকে জানান, বর্তমানে দেশে দু’টি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের কারণে ৫-৮ জুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতি বন্ধে অটোমেশন সফটওয়্যার চালুর কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সফটওয়্যারটি চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সব তথ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে এবং সার্টিফিকেট বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে যাচাই করা যাবে।’
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জাল সনদধারী ৬৭৮ শিক্ষক/কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।