সেই সাথে তিনি বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার আগেই উপকূলীয় জেলার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয় যে শেখ হাসিনা সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন।
তিনি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায়ও প্রস্তুত থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা দুর্যোগটি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ ও কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসব বাহিনী ও সংস্থা ইতিমধ্যে তাদের কাজ শুরু করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের ইতিমধ্যে কাছের আশ্রয়কেন্দ্র এবং স্কুল ও কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এতে আরও জানানো হয় যে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
তার নির্দেশে জানমালের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেন।
এদিকে, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় যে সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে শুক্র ও শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় খোলা থাকবে। সেই সাথে উপকূলীয় জেলাগুলোর সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।