চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চলমান দাখিল পরীক্ষার হাদিস বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে এক মাদরাসা সুপারসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া এমএ কামিল মাদরাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।
আটকরা হলেন, ফরিদগঞ্জের চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের এখলাশপুর মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা ইকরাম হোসাইন হামিদ (৪৬), ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া এমএ কামিল মাদরাসার নৈশ প্রহরী ইসমাইল হোসেন (৩২) ও মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তারেকুল ইসলাম (৩০)।
পুলিশ জানায়, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদরাসার দুই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইসমাইল হোসেন (৩২) ও তারেকুল ইসলাম (৩০) হাদিস বিষয়ের প্রশ্নের ছবি তুলে চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের এখলাশপুর মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা ইকরাম হোসাইন হামিদের হোয়াটসঅ্যাপে ডকুমেন্ট আকারে পাঠায়। বিষয়টি জানাজানি হলে, ইউএনও ঘটনাস্থলে আসেন।
আরও পড়ুন: শিবির সন্দেহে আটক, তিন বছর পর অব্যাহতি জবির ১১ শিক্ষার্থীর
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া ইউএনবিকে বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশনা দিয়ে পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম ইউএনবিকে বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এক মাদরাসা সুপারসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।