আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রেখে সোমবার ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের অন্যান্য মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের সাথে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নতুন অনুমোদিত আইনটি ১৯৯৩ সালের ফাইন্যান্স কোম্পানি আইনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনবে। আগের আইনটি তেমন কার্যকর নয়।
আরও পড়ুন: স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন দিতে পারবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
অনুমোদিত আইন অনুযায়ী, আগের আইনে যে প্রতিষ্ঠানগুলো ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সস্টিটিউশন হিসেবে বিবেচিত হতো এখন সেগুলো কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে তার জন্য নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। এছাড়া তাদের মেমরেন্ডাম অব অ্যাসেসিয়েশনেও কোনো পরিবর্তন আনতে হবে না।
তিনি বলেন, এ আইন অমান্য করলে ব্যাপক জরিমানার কথা বলা হয়েছে। ১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। জরিমানার পাশাপাশি ফৌজদারি আইনেও বিচার করা হবে।
এ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্স কোম্পানি লাইসেন্স ছাড়া কোনো অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না।
জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চসীমা এবং সুদের পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়ার পাশাপাশি কাদের ঋণ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে তা এখানে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনের অর্ন্তভুক্ত হলে দেউলিয়া করার বিষয়টি কোর্টের বাইরে ফয়সালা করা যায় কিনা সে ব্যাপারে মন্ত্রিসভা কিছু পর্যবেক্ষণ জমা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বেসরকারি মেডিকেল-ডেন্টাল কলেজের খসড়া আইন চূড়ান্ত
সামরিক শাসনামলে হওয়া বিরোধীদলীয় নেতা একং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন ১৯৭৯ এর বদলে বৈঠকে বিরোধীদলীয় নেতা একং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
এছাড়া ১৯৮৩ সালের হোমিওপ্যাথিক সংক্রান্ত আইনের পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশলের বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
এছাড়া যাদের অফিশিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট রয়েছে তারা যেনো বতসোয়ানা যেতে পারে সে বিষয়ে একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে।